সংযোগ২৪.কম//
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের আওতাধীন রানাকৈর কদমতলা নামক বাজারে মালেক ফার্মেসী আড়ালে চলছে অবাধে ট্যাপেন্টা বিক্রি মালেক গ্রামের সাধারন ওষুধ বিক্রেতা। কদমতলা মোড় থেকে তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দিকে যেতে ডানদিকে তার এই ঔষুধের ফার্মেসী নিজে ব্যবসা করতো পরোবর্তিতে তার ভাতিজাকে দোকানে বসিয়ে সে বর্তমানে নিজের বাসায় ও এলাকায় এই ব্যবসা সচল রেখেছে। সেখানে সবধরনের ওষুধ থাকার পরেও দোকান বন্ধ রেখে নিজে দোকানদারি না’করে ভাতিজা কে দিয়ে খুব সহজেই ট্যাপেন্টা নামক এক ট্যাবলেট এর বিক্রয় করে যাচ্ছে। সারা দিনে তার তেমন অন্যান্য ওষুধ বিক্রি না হলেও বিকেল থেকে সন্ধার পর্যন্ত চলে তার ট্যাপেন্টা বিক্রির সমা উৎসব। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, মালেক দীর্ঘদিন ধরে ট্যাপেন্টাসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করে অাসছে। সেই ওষুধগুলো বেশি ভাগই ব্যবহার হচ্ছে নেশার জন্য। তার দোকান থেকে ১৪-২৫ বছরের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা বেশি এই ট্যাপেন্টা কিনছে।আর সেই ট্যাপেন্টা দিয়ে ইয়াবার মত সেবন করছে। ট্যাপেন্টা খুব সহজলভ্য হওয়ার কারনে স্কুল, কলেজের ছেলেরা নেশার জন্য ব্যবহার করছে। তালবাড়িয়া ইউনিয়ন সহ পার্শবতী বিভিন্ন এলাকার মানুষ তার কাছ থেকে ট্যাপেন্টা কিনতে অাসে। ট্যাপেন্টার প্রকৃত মুল্য থেকে ৩/৪ গুন বেশি দামে বিক্রি করছে। শোনা যায় অনেক ইয়াবা অাসক্ত ব্যক্তি ইয়াবার দাম বেশি হওয়ায় এই ট্যাপেন্টাকে ইয়াবার মত ব্যবহার করে নেশা করছে। দীর্ঘদিন ধরে তার ট্যাপেন্টার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে মালেকের ঔষুধ ফার্মেসীতে তালবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির কিছু পুলিশ সদস্যের নিয়মিত যাওয়া আসা করে বলেই কোন রকম ভয়ভীতি ও সমস্যা ছাড়াই অবৈধ এই ব্যবসা করে যাচ্ছে তিনি। একালাবাসির প্রশাসনের কাছে দাবি, মালেক এর ট্যাপেন্টা বিক্রি বন্ধ করে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত করতে হবে। তা’নাহলে প্রতিটি পরিবারেই কোন না কোন সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে যাবে বলে আসংখা করা হচ্ছে।