সংযোগ২৪.কম::
প্রশাসনের কেউ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে কোন ছাড় নেই: এসপি তানভির আরাফাত। কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম বার যোগদানের পর থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ বন্ধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মানুষের নজির কেরেছেন। কুষ্টিয়া সাধারণ জনগন তাদের আস্থার প্রতিক হিসেবে বেছে নিতে পেরেছিলেন পুলিশ প্রশাসনকে। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারিসহ সেবার নামে দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, থানায় সেবা নিতে আসা প্রার্থীদেরকে হয়রানি না করে সঠিক সেবা নিশ্চিত করবার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিদের নির্দেশ প্রদান করেন। তারপরও থেমে নেই তার ঘুষবাণিজ্য নামপ্রকাশ না করার শর্তে থানার একাধিক দালাল বলেছেন টাকা ওপর পর্যন্ত যায়। যে সকল মাদক ব্যবসায়ী থানায় নিয়মিত মাসোহারা দেয় না তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। আটককৃত মাদক থানার গেটে বসে বিক্রি করে পুলিশের আশীর্বাদপুষ্ট মাদক ব্যবসায়ীরা। কুষ্টিয়ার দায়িত্বে থাকা র্যাব সদস্যরাও অনেকটা অসহায় তাদের কাছে। পুলিশ আগেই জানিয়ে দেয় অভিযানের কথা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করলেও অল্প কিছু মাদক তারা আটক করতে পারে। অধিকাংশ মাদক চলে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আর এই মাদক নিয়ন্ত্রক সরাসরি থানার ওসি আরিফ। গত সোমবার দুপুরে দৌলতপুর থানার আশীর্বাদপুষ্ট মাদক ব্যবসায়ী চকদৌলতপুর গ্রামের মৃত দিদার মন্ডলের ছেলে ফনিকে ঝিনাইদহ থেকে র্যাব ৬ এর সদস্যরা এসে গ্রেফতার করেন। তার কাছ থেকে ৪০৬ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। সেসময় ফনি দৌলতপুর থানার সামনে মাদক বিক্রিতে ব্যস্ত ছিলো। র্যাব- ৬ এর সদস্যরা কাউকে না জানিয়ে ক্রেতা সেজে অভিযান পরিচালনা করে ফনিকে আটক করে। জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ৪৬ কি. মি. জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। ভারতের ফুলবাড়ি,শিকারপুর, নাসিরাবাদ, করিমপুর দৌলতপুর সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে ভারতের শিকারপুর, নাসিরাবাদ, করিমপুর এবং বিদুপুরে ফেন্সিডিল তৈরীর অবৈধ কারখানা রয়েছে। যেখান থেকে ফেন্সিডিল তৈরী হয়ে দৌলতপুরের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে আসে। আর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এছাড়া ইয়াবা এবং ভারতীয় কান্ট্রি এবং রাম মদের ব্যবসা দৌলতপুর এলাকায় রমরমা। ওসি আরিফ দৌলতপুরে বদলী হয়ে আসার পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক শুরু করে। এরপর মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। যার সংখ্যা শতাধিক। এ ব্যাপারে দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ সাদিকুজ্জামান খান সুমন বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা খুব বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় মাদক বাড়ছে। মূলত পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গোটা দৌলতপুর মাদকের বৃহৎ বাজারে পরিণত হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ সর্দার বলেন, আমরা ওসি অনেক বার অনুরোধ করেছি। কিন্তু ওসি কর্ণপাত না করায় মাদক ছেয়ে গেছে দৌলতপুর উপজেলার সর্বত্র। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকেও বারবার বলেছি। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি আরিফের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে কিছু ধরাও পড়ছে।কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধেই গ্রেফতার বাণিজ্যে ও মাদকের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে, মাদক ব্যবসায়ীদের সরাসরি নিয়ন্ত্রন করে থানা। থানায় নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে তারা মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আরিফুর রহমান দৌলতপুর থানায় যোগদান করে গড়ে তুলেছে গ্রেফতার- বাণিজ্যের ভয়ানক সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসহায় নিরীহ জনসাধারণকে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানি তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয় । তারপরেও আরিফুর রহমান তার অপকর্ম থেকে সরে আসেনি , অনুসন্ধানে জানা যায় বিভিন্ন মাদক সাথে জড়িত এই দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান। এখানে শেষ নয় দৌলতপুর থানায় বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে অনেক তথ্য দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি আকিজ গ্রুপ ফ্যাক্টরি, করোনা কালীন সময় ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকলে , নকল আকিজ বিড়ি বানানো সহযোগিতা করে আসছেন তিনি, কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার বিশেষ টিম ডিবির হাতে কয়েক দফা ধরা পড়েন নকল বিড়িও পিকআপ ভ্যানে সহ 6 জন আসামি জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি ওসি আমিনুর রহমান তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এবং তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন, প্রত্যেকটি আসামি বাসা দৌলতপুর থানায়।