সংযোগ২৪.কম;;
কুষ্টিয়া অফিস: দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর গ্রামের দিদার হোসেনের পুত্র ফনি রবিবার দুপুর দেড়টা সময় দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর গেটের সামনে জাহিদের ঔষধের দোকান, সেই দোকানের পিছনে থেকে ৪০৫ পিচ ইয়াবা সহ আটক করে র্যাব -৬ , ঘটনাস্থল থেকে জাহিদ পিছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। ফনি কে আটক করার পরে ফনি চিৎকার করে জনসম্মুখে বলে এই মাল আমার না জাহিদ আমাকে বলেছে এই প্যাকেট দিয়ে এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন জাহিদ এই দোকান থেকে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে, এমন কোন অপকর্ম নেই জাহিদ করে না। জাহিদ আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘ ধরে, জাহিদ কিছু তথ্য ১৯৮৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক দল ফ্রীডম পার্টি অংশ নেয়। কুড়াল মার্কা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রীডম পার্টি। ফ্রীডম পার্টির একমাত্র প্রার্থী কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুরে মোঃজাহিদুল ইসালাম (জাহিদ মাস্তান)। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ফ্রীডম পার্টির, এই গডফাদার জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ মাস্তান) আওয়ামীলীগের ছত্র ছায়া থাকে এবং আওয়ামিলীগের বড় বড় নেতাদেরকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে আসছেন।জাহিদ মাস্তান আমাদের দৌলতপুরের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে মোঃআফাজ উদ্দিন বিশ্বাস সাহেব-কে হত্যার উদেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান।আল্লাহর অশেষ রহমতে সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণে বেচে যায় কিন্তু এই জাহিদের আত্মঘাতী বোমার আঘাতে প্রাণ হারান সন্ত্রাসী বোমা জাহিদের সহযোগী আহাদ, সিদ্দিক সহ স্কুল শিক্ষক। যারা একসময় বিভিন্ন আওয়ামীলীগের বাসায় অন্যায় অত্যাচার, জুলুম চালিয়েছেন তারা এখন আওয়ামীলীগের বড় নেতা।সন্ত্রাসী জাহিদ কিভাবে আওয়ামীলীগের নেতা হন এবং আওয়ামীলীগের ছত্রছায়া তলে থাকেন কিভাবে।এই জাহিদের ছোট ভাই মোঃজহুরুল আলম সদ্য জাতিয় পার্টি থেকে এসে সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক(দৌলতপুর)পদ নিয়ে সে এখন আওয়ামীলীগ। দৌলতপুরে বিভিন্ন আওয়ামীলীগ কর্মিরা এদের হাতে নানান ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছেন। সন্ত্রাসীরা দলীয় পদ নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সাধারণ জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে বঙ্গবন্ধু খুনির ফ্রিডম পার্টির এমপি প্রার্থী সন্ত্রাসী বোমা জাহিদ এতো কিছুর পর কোন অজানা শক্তির বলে এখনো আওয়ামী লীগে নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সুদের ব্যবসা করে আসছেন আওয়ামী লীগের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কর্মি সন্ত্রাসী জাহিদ কে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে এই জাহিদের নামে হাসপাতালে ডাকাতি, জাল টাকা সহ একাধিক মামলার আসামী।