সংযোগ২৪.কম:: কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী লিপটনের হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান । রবিবার সকাল ১২টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন গ্রামের শত শত মানুষ। কুষ্টিয়া কুমারখালি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নে নিরীহ মানুষের অত্যাচার, জুলুম, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে অসহায় মানুষকে নির্যাতনকারী সন্ত্রাসী লিপটনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এসময় তারা বলেন, সন্ত্রাসী লিপটন আমাদের জীবন নিয়ে খেলা করছে, তার কথা না শুনলে র্যাবে সাথে যোগসাজশে আমাদের ধরে নিয়ে যায়, এরপর লিপটন তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়, ধরে নিয়ে গিয়ে র্যাব দিয়ে সারারাত চালানো হয় নির্যাতন এমনকি হাত পা ভেংগে গুড়িয়ে দেয়ার নজিরও রয়েছে। পরে তাদের সেই অস্ত্র ও কিছু বোমা বারুদ দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়। লিপটনের নিজস্ব কোন শক্তি নেই তাকে এলাকার মানুষ কোন প্রকার আশ্রয় প্রশ্রয় না দেয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য র্যাব কে ব্যবহার করছে। গত শনিবার বিকেলে বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধূয়া থেকে আরিফুল ইসলাম (২৪), পিতা: হাচেন আলী ও আনারুল মল্লিক (২১) পিতা : করম আলী মল্লিক নামে দুই জন নিরীহ মানুষকে সন্ত্রাসী লিপটন নিজে দাড়িয়ে থেকে র্যাবের হাতে তুলে দেয়। এলাকার মধ্যে থেকে তাদের খালি হাতে আটক করার পরেও এলাকাবাসীর সামনে বেধর মারপিট করে। সন্ধ্যায় তাদের নিয়ে আসে র্যাব অফিসে। এর আগে আরিফুলে বড় ভাই মোঃ মুকুলক হোসেন (৪৮) কে ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে হাত পা ভেংগে দেয়। গোপন সুত্রে জানা যায়, শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত সন্ত্রাসী লিপটন র্যাব অফিসের মধ্যেই অবস্থান করছিল। তার পরামর্শে কোন সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী র্যাব অফিসের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনি। এলাকাবাসীরা বর্তমান পরিস্থিতি উপেক্ষা করে জানায়, লিপটের ক্ষমতার মূল হাতিয়ার র্যাব অফিস, সে কাওকে পরোয়া করেনা, স্থানীয় আওয়ামী নেতা বা জেলার নেতা কোন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা কাওকেই সে পরোয়া করেনা, আমরা সাধারণ মানুষ সব সময় আতঙ্ক থাকি কখন যেনো কাওকে ধরে নিয়ে যাবে। আমরা কেউই তার কাছে নিরাপদ নয়, আমরা কেউ কোন দলীয় সভা সমাবেশে যেতে পারিনা। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে থাকায় এভাবে নিরীহ ও নিপিড়ীত মানুষে অহেতুক ধরে নিয়ে গিয়ে এভাবে শাস্তি দেয় এই সন্ত্রাসী লিপটন। আমরা তার হাত থেকে বাঁচাতে চাই। এই সময় কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্র পত্রিকাসহ ইলেকট্রনিক ও বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীরা সে সময় উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেখানে এলাকাবাসূর পক্ষে গণ স্বাক্ষর করেও জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া হয়, স্মারকলিপিতে উল্লেখিত, কুমারখালী, জেলা: কুষ্টিয়া। আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমাদের পাশের গ্রামের সন্ত্রাসী লিপটন তার নিজ স্বার্থ উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ১) আরফি, পিতা-হাচেন আলী শেখ, গ্রাম-শালঘর মধুয়া, থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া ও ২) আনারুল, পিতা-করম আলী মল্লিক, গ্রাম- শেলগাড়ী, থানা- কুষ্টিয়া সদর, থানা ও জেলা-কুষ্টিয়াদ্বয় কুমারখালী হইতে আরিফ তার ভাই আমানত এর নিকট হইতে টাকা নিয়ে দুইজন একটি মটর সাইকেল যোগে বাড়ীওত যাওয়ার পথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলাধীন জিয়ারখি ইউনিয়নের পিয়ারপুর মোড়ে পৌঁছানো মাত্র র্যাব-১২ দ্বারা আটক করায়। কিন্তু উক্ত ব্যক্তিদ্বয় কোন সন্ত্রাসী বা নাশকতা কাজের সহিত জড়িত নয়। যা এলাকাবাসী কোন ভাবে মেনে নিতে পারছে না। এ বিষয়ে অদ্য ২৬/১১/২০২৩ ইং তারিখ সময় অনুমান বেলা ১২.০০ ঘটিকায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে এলাকাবাসী মানববন্ধন করিয়াছে। উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মী উপস্থিত ছিল। এমতাবস্থায় তাদেও মুক্তির জন্য তাদেও মুক্তির জন্য আপনার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করিতেছি।