গণপূর্ত অধিদপ্তর সরকারী নির্মান কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকৌশল সংস্থা। কিন্তু বালিশ কান্ড সহ নানা কারনে এই সংস্থাটির কর্মকর্তাদের নানা নেতিবাচক সংবাদ প্রায়ই গণমাধ্যমে উঠে আসে। কিন্তু এত অন্ধকারের মধ্যেও যেন আলোক বতৃকা হয়ে পথ দেখাচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নাছিম খান। তার মেধা ও সততা গুনে সেবা প্রদানে গতি শীলতা এসেছে। আগে একই পদে ছিলেন জনাব প্রদীপ কুমার বসু এবং জনাব উতপল কুমার দে। দুজনের বিরুদ্ধেই দূর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে উতপল কুমার দে দূর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। প্রদীপ বসু দিনের পর দিন ফাইল আটকে রাখা, টেন্ডার বানিজ্যের মাধ্যমে ঠিকাদারদের জীবন দূর্বিষহ করে তুলেছিলেন। কিন্তু জনাব নাছিম খান দ্বায়িত্ব নেয়ার পর সব কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিস্পত্তি করে দেন, বন্ধ হয়ে যায় টেন্ডার বানিজ্য। অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের এই কর্মকর্তা ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ইতোমধ্যে পেয়েছেন শুদ্ধাচার পুরস্কার। মেধাবী এই কর্মকর্তা বূয়েটে অধ্যয়ন কালে ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আই ই বি তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের প্রকৌশলীদের সংগঠনে গঠন মুলক ভুমিকা রেখে চলেছেন। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী ইতোমধ্যে সাড়ে তিন বছর অতিক্রম করে ফেলেছেন, কিন্তু তার উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন না থাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া অতীতে এইচ,বি,আর, আই তে কিছু অনিয়ম এর বিষয়ে তার বিরুদ্দে তদন্তের জন্য মাননীয় প্রধান মত্রীর দপ্তর হতে নির্দেশনা প্রদান, স্বজনপ্রীতি; ‘ন’ আদ্যক্ষরের একজন ঠিকাদারের সাথে তার সক্ষতা; নিয়োগ ও বদলী বানিজ্য; টেন্ডারে প্রভাব বিস্তার ইত্যাদি নানা বিধ কারনে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী বিতর্কিত হয়ে গেছেন। তাছাড়া ফিল্ড চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকায় কাজ কর্মে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এই সুযোগে বিএনপি ঘরানার আরেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোসলেউদ্দীন ২০(বিশ) কোটি টাকার মিশিন নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারের জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন মর্মে গত একমাসে গণমাধ্যমে লাগাতার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার সূত্রে ঢাকার অধিকাংশ নির্বাহী প্রকৌশলী মত দেন, জনাব নাছিম খান পরবর্তী প্রধান প্রকৌশলী হলে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সোনালি দিন ফিরে আসবে। অথচ এই নিভৃত চারী ও প্রচার বিমুখ কর্মকর্তা নির্মোহ ভাবে দিনরাত দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন দক্ষ ও ডায়নামিক কর্মকর্তাকে প্রধান প্রকৌশলী করা যায় কিনা তা উচ্চমহলেও বেশ জোড়ে শোরে আলোচিত হচ্ছে। স্মার্ট বংলাদেশ বিনির্মানে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই মেধাবী ও চৌকশ কর্মকর্তাকে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর স্থলাভিসিক্ত করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে মর্মে বিস্বস্ত সুত্রে জানা যায়।