সংযোগ২৪.কম:: আমাদের দেশে ব্যয় বাড়াতে উন্নয়ন কাজ বিলম্ব করার ট্র্যাডিশন হয়েছে গেছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, এ থেকে আমাদের বের হতে হবে। আমাদের দেশে এ ট্র্যাডিশন হলেও চায়না বা জাপানিরা তা করে না। মেয়াদের আগেই তারা কাজ শেষ করে। কিন্তু আমরা পারি না।
বৃহস্পতিবার সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের কাজ ৬ মাস আগে শেষ করেছে, তারা টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের কাজ বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু সেটা কেনো হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের চেয়ে চীনারা অনেক অভিজ্ঞ। তারা চাইলে জনবল ও ইকুইপমেন্ট বাড়িয়ে ২০২৩ সালেই নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
এর আগে, প্রকল্পটির পরিচালক কাজের অগ্রগতি নিয়ে মন্ত্রীকে জানান- ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হলেও মূল প্রকল্পের ৩৩ মাসের মধ্যে ২৬ মাসে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং সম্প্রতি আরও ৫ মাস বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ, প্রকল্প পরিচালক শাহ জুলফিকার হায়দার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সিলেট কর অঞ্চলের সেরা করদাতাদের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী। সিলেট কর অঞ্চলের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩৫ জন পেয়েছেন সেরা করদাতা সম্মাননা পুরস্কার।
বৃহস্পতিবার নগরীর একটি হোটেলে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কর অঞ্চল সিলেটের কর কমিশনার আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশন এলাকা ও চার জেলার ১০ জনকে দীর্ঘমেয়াদী সর্বোচ্চ করদাতা সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয় এবং সর্বোচ্চ করদাতা ১৫ জন এবং নারী ও তরুণ পুরুষ শ্রেণিতে ৫ জন করে ১০ জনসহ মোট ৩৫ জনকে করদাতা পুরস্কার দেওয়া হয়। এদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে দীর্ঘ মেয়াদি দুজন করদাতা হলে আব্দুল খালিক এবং ধ্রুব জ্যোতি শ্যাম। সর্বোচ্চ করদাতা হলেন এ কে এম আতাউল করিম, রাখাল দে ও এম নুরুল হক সোহেল। সিটি করপোরেশন এলাকার সর্বোচ্চ করদাতা নারী হলেন হাছিনা আক্তার চৌধুরী ও তরুণ পুরুষ সর্বোচ্চ করদাতা মুহাম্মদ শাহ আলম।
সিলেট জেলা থেকে দীর্ঘ সময় ধরে করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আহমেদ ও আলী আহমেদ কুলু এবং সর্বোচ্চ করদাতা তিনজন হলেন- আবুল কালাম, মোহাম্মদ আবু তাহের ও মোহাম্মদ ফরহাদ। এছাড়া সর্বোচ্চ নারী করদাতা হলেন- আফছানা আক্তার ও তরুণ পুরুষ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করাদাতা হলেন- খাইরুল হাসান।
হবিগঞ্জ জেলায় দীর্ঘ করদাতারা হলেন আব্দুল মালিক ও আজমান আলী, সর্বোচ্চ করদাতা মিজানুর রহমান শামীম, মো. গোলাম ফারুক ও মো. দুলাল মিয়া, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা শাবানা বেগম ও তরুণ পুরুষ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করাদাতা হলেন মো. এমদাদুল হাসান।
সুনামগঞ্জে দীর্ঘ মেয়াদি ধরে করদাতা হয়েছেন ডা. মো. গোলাম মোস্তফা ও হিমাংশু আচার্য্য, সর্বোচ্চ করদাতা মো. আতিকুর রহমান, অমল কান্তি চৌধুরী ও মোর্শেদ আলম বেলাল এবং সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী করদাতা হলেন দিলশাদ বেগম চৌধুরী ও তরুণ পুরুষ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করাদাতা হয়েছেন জহিরুল হক। এ ছাড়া মৌলভীবাজারে দীর্ঘ সময় ধরে করদাতা হন ডা. সত্য রঞ্জন দাস ও সাধন চন্দ্র ঘোষ। সর্বোচ্চ করদাতা হয়েছেন মুহিবুর রহমান, কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও জালাল আহমেদ এবং সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী হলেন সান আরা চৌধুরী ও তরুণ পুরুষ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করাদাতা মো. তানভীর চৌধুরী।