রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
মোঃ নাছিম খান, যেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাতিঘর কুষ্টিয়ায় শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় প্রাণ হারালো কিশোর নুর ইসলাম ঈদযাত্রার টিকিট কাটার ভিড় নেই গাবতলীতে ভালো আছেন সোমালিয়ায় জিম্মি নাবিকেরা : হাছান মাহমুদ কুষ্টিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২ হাজারেরও বেশী পানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত কুষ্টিয়ায় ১৯৩৬ বোতল ফেনসিডিল, ১টি বিদেশী পিস্তল ও ০৮ রাউন্ড গুলি সহ গ্রেফতার – ১ ভেড়ামারায় বরাদ্দকৃত রাস্তার জায়গায় নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ কুমারখালীতে হাসুয়ার আঘাতে আহত ৪ ছাত্রলীগ কর্মী  মাশরাফিসহ ৫ জন জাতীয় সংসদের হুইপ হলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার ছয় দপ্তর বণ্টন দেশে গত ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৮.৫ শতাংশ খোকসা অনলাইন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমদোন কুষ্টিয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান   নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ৭ জানুয়ারি ভোট কুষ্টিয়ায় দিনে দুপুরে যুবকের মাথায় আঘাত করে প্রায় ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ঘোষণা:
সংযোগ২৪ ডটকমে আপনাকে স্বাগতম । সময়ের বহুল প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য বাংলাদেশের ভিন্নধারার নিউজ পোর্টাল "সংযোগ২৪ ডটকম" । অতি অল্প দিনে পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ সংবাদকর্মীরা। দেশ-বিদেশে সকল খবরাখবর কারেন্ট আপডেট জানাতে দেশের জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।  ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সিভি)পাঠাতে হবে এই ই-মেইল: nazmulkst.hossain@gmail.com , মোবাইল : ০১৭২৯-৫৫১৫৪৬

শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনির দুর্নীতি ও অনিয়ম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশে তদন্তে নেমেছে সাতক্ষীরা শিক্ষা অফিস 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:: / ১২৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩, ৫:০৪ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোহা.আব্দুল গনির দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেন শিরোনামে ০২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে দৈনিক সুত্রপাতসহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা অনৈতিক কার্যলাপ করছেন শিক্ষা অফিসার মোহা. আবদুল গনি। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন করেছেন তারা। আবেদনের সাথে প্রমাণ হিসেবে তারা কিছু তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা উপবিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয় হতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তার বেশকিছু কর্মকাণ্ড নিম্নে তুলে ধরা হলো – কিছু দালাল শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক: মনিরুজ্জামান (দক্ষিণ ফিংড়ী সপ্রাবি), শওকত (পূর্ব দহাকুলা সপ্রাবি), হালিমুর (দহাকুলা সপ্রাবি), আবদুস সবুর (আগরদাড়ি সপ্রাবি), জাকির (খানপুর সপ্রাবি), একরাম (গাংনিয়া সপ্রাবি), মাজেদ (পার মাছখোলা সপ্রাবি), হাসনাত (মুকুন্দপুর সপ্রাবি), আক্তারুজ্জামান বেলাল (ছনকা সপ্রাবি) শিক্ষকদের নিয়ে ৩ এপ্রিল বিকাল ৩টায় মিটিং করে পত্রিকার সম্পাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করেন। সম্পাদক মহোদয়কে মনিরুজ্জামান নামে একজন ফোনও করেন। পরবর্তীতে একাধিক অনলাইন ও অফলাইন এবং জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর জাকির (খানপুর সপ্রাবি)কে দোষারোপ করে সাইড করে দেওয়া হয় এবং তার কাছে থাকা ৫১টি বিদ্যালয়ের ৮০০ টাকা হারে উত্তোলিত ৪০৮০০ টাকার অবশিষ্টাংশ ১০৮০০ এবং পূর্বে নেওয়া ৩০০০০টাকাসহ মোট ৪০৮০০ টাকা ৩০ এপ্রিল নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। প্রায় প্রতিদিনই সাধারণ ও ভাল শিক্ষক কর্মকর্তাদের কিভাবে হেনস্তা করা যায় এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের টাকা কিভাবে নিজের পকেটস্থ করা যায় এসব ফন্দি-ফিকিরে দালাল শ্রেণির এসব শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। আক্তারুজ্জামানসহ দালাল শিক্ষকবৃন্দ প্রতিদিন স্কুলে সকালে স্বাক্ষর করে ক্লাসে পাঠদান না দিয়ে বরং আবদুল গনির শিক্ষা অফিসে চলে আসেন। এতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কোমলমতি শিশুরা।

শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত ক্লারিফিকেশন: শিক্ষক বদলিতে শুধু শিক্ষা অফিসার একা দায়ী নয়, তার অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে ১০০০০ টাকা দিয়ে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমির হলরুম ভাড়া নিয়ে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভা করেন আব্দুল গনি। অথচ এসব অনুষ্ঠানে সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। তাছাড়া অতীতে প্রাথমিকের কোন মাসিক সমন্বয় বা এধরনের কোন সভা এখানে অনুষ্ঠিত হয়নি। তাহলে আবদুল গনি হঠাৎ এত টাকা খরচ করে এ অনুষ্ঠান করলেন তা বোধগম্য নয়। তবে সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সকল প্রধান শিক্ষকের সাথে সভা করে তার অনুকরণীয় শিক্ষক ছাড়া অন্যদের কিভাবে শাস্তিমূলক বদলি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। কারণ শিক্ষক বদলিতে প্রধান শিক্ষক ফরওয়ার্ড করলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তা অনায়াসে ফরওয়ার্ড করেন। এরপর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাদের শাস্তিমূলক বদলিতে স্বাক্ষর করেন। (উল্লেখ্য, বিদ্যমান সফটওয়ারে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আইডি হতে নির্দিষ্ট সময়ের পর অটো ফরওয়ার্ডের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আইডিতে যেয়ে জমা থাকে। কোন রিজেক্ট করার অপসন নেই। একমাত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আইডিতে এসে সকল ফরম জমা থাকে এবং রিজেক্ট অপসন আছে)। হোসনে ইয়াসমিন করিমী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সাতক্ষীরা মহোদয়ও এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ক্লারিফিকেশন দেওয়ার যথেষ্ট চেষ্টা করেন। সে কারণে গত ২ মে হোসনে ইয়াসমিন করিমী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সাতক্ষীরাকে ৩দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ দেন বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ, খুলনা। হোসনে ইয়াসমিন করিমী ৮ মে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানা গেছে।

নিলাম ছাড়া স্কুলের ভবন ও গাছ বিক্রি: নিলাম ছাড়া স্কুলের ভবন ও গাছ বিক্রি করে তার পকেটে টাকা দিতে খানপুর সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে চাপ প্রয়োগ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এসব কাজে সহায়তা না করায় তার চাকরি খাওয়ার জন্য হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন শিক্ষা অফিসার।

শিক্ষার গুণগতমান ক্ষুন্ন হওয়া সংক্রান্ত : ১৬ মে তারিখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহা. আবদুল গনি দীর্ঘ সময় ধরে তার স্বাগত বক্তব্যে শিক্ষার গুণগত মানের উপর আলোচনা করলেও শিক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাঠদানের পরিবর্তে তার অনুগত হয়ে চলার অনৈতিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর।

দু’টি সরকারি মটর সাইকেল ব্যবহার: আবদুল গনি সাহেবের নামে বরাদ্দকৃত মটর সাইকেল যার নং ‘ঢাকা মেট্রো হ ৩৪-৬৭১৩’ ব্যবহার করার নির্দেশনা থাকলেও তিনি ডিপিইও অফিস হতে ‘ঢাকা মেট্রো হ ৩৫-২১৮০’ (ইয়ামাহা ক্রাস্ক) মটর সাইকেলটিও ব্যবহার করতেন। পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশের পর ঢাকা মেট্রো: হ ৩৫-২১৮০ নম্বর মটর সাইকেলটি জমা দিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত ২টি মটর সাইকেল একজন কর্মকর্তা ব্যবহার বিধিমালা পরিপন্থী।

অহেতুক হয়রানি করা: শিক্ষককে অহেতুক ডেকে এনে স্কুল ভিজিটের নামে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন আবদুল গনি। তার এসকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডে পাঠদানের পরিবর্তে শিক্ষকরা তাকে ম্যানেজ করতেই ব্যস্ত থাকেন। কারণ তাকে ম্যানেজ করতে না পারলে শোকজ করে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ তার স্ত্রী মৌসুমী খাতুন, চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলারহাট এলাকার দলদলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই গত ০৪/০৪/২০২৩ হতে ২৮/০৪/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ পর্যন্ত সাতক্ষীরাতে অবস্থান করে স্কুল ফাঁকী দিয়েছেন। স্বামী শিক্ষা অফিসার হওয়ায় প্রায়শই তিনি বিদ্যালয়ে আসেন না বলে জানা গেছে। এরপর যেদিন আসেন সেদিন পাঠদানের পরিবর্তে অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে বসে খোশ-গল্পে সময় পার করেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অবিভাবকরা। এছাড়া স্থানীয়রা সাতক্ষীরা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। তাদের দাবি, মোস্তফা কামাল শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনির সঙ্গে যোগসাজশ করে এ জেলার ভাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অহেতুক হয়রানি করছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহা. আব্দুল গনি সকল দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিয়ে বহাল তবিয়তে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে চাকুরী করার পায়তারা করছেন। তিনি কয়েজন শিক্ষকের সাথে বলেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া বা বদলি করা সহজ বিষয় নয়। জেলা শিক্ষা অফিসারকে তার কথায় চলতে হবে। এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমীর কাছে
জানতে চাইতে তিনি বলেন তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক বদলিসহ বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কুষ্টিয়া জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব

এক ক্লিকে বিভাগের খবর