তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবনে গরম অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত গরম কোনোভাবেই কমবে না। সূর্যের খরতাপে পুড়ছে প্রকৃতি। টানা ৯ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার (৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল এ জেলায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় টানা ৯ দিন সর্বোচ্চ তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। বাতাসের আর্দ্রতা ১২ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি উঠতে পারে। তাপদাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে তাপদাহের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বেলা বেড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতা আরও বাড়ছে। সড়কে চলাচল করলে শরীরের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। রোজাদাররা চরম কষ্টে রয়েছে গরমের কারণে।
এ ছাড়া ডায়রিয়া ও টায়ফোয়েড রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে গরমের কারণে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শয্যার তুলনায় বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশুরা গরমে বেশি ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগেও নতুন রোগী বাড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, গরম না কমা পর্যন্ত রোগী বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গরমজনিত কারণে প্রতিদিন নতুন রোগী আসছেন।
দামুড়হুদা জয়রামপুর গ্রামের কৃষক মেহের আলি বলেন, অতিরিক্ত রোদের কারণে মাঠের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। রোদের মাঝেও কষ্ট করে ধানের জমিতে কাজ করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নেই।